আল আমিন স্বাধীন মান্দা (নওগাঁ ) প্রতিনিধি : নওগাঁর নিয়ামতপুরে মারধরের একটি মামলা নিয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ছলচাতুরির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, মারধরের ঘটনায় মামলা না নিয়ে প্রতিপক্ষের দেওয়া ৫ লাখ টাকার চাঁদাবাজির একটি মামলা রেকর্ডভূক্ত করে পুলিশ। এর ৪দিন পর প্রধান অভিযুক্তকে বাদ দিয়ে মারধরের মামলা নেওয়া হয়। শনিবার ( ১৯ এপ্রিল) দুপুরে মান্দা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মামলার বাদী সেকেন্দার আলী। তিনি নিয়ামতপুর উপজেলার ঝাঁজিরা গ্রামের মৃত ফজর উদ্দিন মোল্লার ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে সেকেন্দার আলী বলেন, ‘নিয়ামতপুরের বালাহৈর মৌজায় চার ইউনিটের একটি ফ্ল্যাট বাসা নিয়ে আমার ৩ নম্বর ভাই সাইদুর রহমানের সঙ্গে বিরোধ চলছিল।
গত ৩ এপ্রিল ছোটভাই সাইফুল ইসলামের ইউনিটের তালা ভেঙে দখল করে নেন ৩ নম্বর ভাই সাইদুর রহমান।’ ভুক্তভোগী সেকেন্দার আলী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমার ছেলে আল আমিন ও ভাতিজা আব্দুর রহমান সেখানে গেলে তাদের মারধর করে সাইদুর রহমান, তার স্ত্রী রাবেয়া বেগমসহ ভাড়াটিয়া লোকজন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত আল আমিন ও আব্দুর রহমানকে নিয়ামতপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলাকারীরা আল আমিনের একটি মোটরসাইকেল বাড়িতে আটকে রাখে। ঘটনায় ওইদিন সাইদুর রহমান, রাবেয়া বেগমসহ ৬জনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় অভিযোগ করি।’ সংবাদ সম্মেলনে সেকেন্দার আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনায় পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে।
গত ৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিয়ামতপুর বাজারের একটি দোকানে থানার এসআই এমদাদুল হক একটি টাইপ করা কাগজে আমার স্বাক্ষর নেন। আমাকে ওই কাগজটি পড়তেও দেওয়া হয়নি। পরে দেখি প্রধান অভিযুক্ত রাবেয়া বেগমের নাম বাদ দিয়ে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।’ ভুক্তভোগী সেকেন্দার আলীর অভিযোগ, ‘মারধরের ওই ঘটনায় একই তারিখ ও সময় উল্লেখ করে গত ৭ এপ্রিল ১০টা ৫ মিনিটে আমিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকার চাঁদা দাবির একটি মামলা রেকর্ডভূক্ত করা হয়। আর মারধরের মামলাটি রেকর্ড করা হয় এর ২৫ মিনিট পর ১০টা ৩০ মিনিটে।
থানা পুলিশের এ ধরণের ছলচাতুরিতে আমি হতবাক হয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জোর দাবি করছি।’ এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সাইদুর রহমানের মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান মোবাইলফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে মান্দা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জাকিরুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।