চকরিয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়ন সাকের মোহাম্মদ চর এলাকায় ভুক্তভোগী ১/আরিফ উল্লাহ (৪৯) ২/ শহিদুল্লাহ (৫৫) ৩/ জসিম উদ্দিন (৩৫) ৪/ মোহাম্মদ হাসান (১৮) সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকালবেলা সাংবাদিকদের জানান, গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ লোকদের হয়রানি করার অভিযোগ তোলে ভুক্তভোগী পরিবার। বিবাদী শহিদুল্লাহ জানান, কাকারা ইউনিয়ন সাকের মোহাম্মদ চর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলী পুত্র মো. আমান উল্লাহ (৪৮) সঙ্গে পাশ্ববর্তী আমরা ভুক্তভোগী পরিবার জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এই বিরোধের জের ধরে (১৬ মার্চ) তারিখ রমজানে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়।
(২৩ মার্চ) সাকের মোহাম্মদ চর পুরাতন জামে মসজিদ এর পশ্চিম পার্শ্বে মারধর ঘটনা ঘটায় বলে মামলা করেন। বাদীর ভাইপুত তাজফিকুর রহমান'কে বিবাদীরা বাম হাতের হাঁড়ভাঙ্গে জখম কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু হাঁড়ভাঙ্গা সঠিক তবে ঐদিন লামায় ফাইতং ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড নয়াপাড়া এলাকায় বাদীর বড় ভাই এনামুল হক দ্বিতীয় স্ত্রী'কে নিয়ে থাকেন সে-বাড়ি'তে যাওয়ার পথে বাইসাইকেল থেকেই পড়ে হাঁড়ভাঙ্গে তবে জমি বিরুদ্ধ ঘটনা'কে ইস্যু করে ভাইপুত হাতের চিকিৎসা'কে নিজের মিথ্যা ঘটনা সুযোগ কাজে লাগিয়ে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় বাদীর ভাই আওয়ামিলীগ প্রভাবশালী সিন্ডিকেট নেতা একি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বহু মামলা আসামী এনামুল হক মেম্বার প্রভাব দেখিয়ে বিবাদী'কে মামলার হুমকি ধামকি দেন।
বাদী মো. আমান উল্লাহ আমাদের পরিবারের ৩ জন ও পূর্বে শত্রুতার জের ধরে লামা উপজেলা ফাইতং ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড বড় মুসলিম পাড়া একজন'সহ মোট ৪ জনকে বিবাদী করে চকরিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (গত ০৮ এপ্রিল'২০২৫) মারধর ও জখম করে বলে মামলা দায়ের করে। এই মামলায় গত ১৪ এপ্রিল বিবাদী ১নং আরিফ উল্লাহ'কে পুলিশ গ্রেফতার করে। আদালতে তার জামিন চাইলে জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠায়। অপর বিবাদী, শহিদুল্লাহ,জসিম উদ্দিন, কলেজ ছাত্র মোহাম্মদ হাসান পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিবাদীরা সবাই সহজসরল ও দরিদ্র। থানা-পুলিশের ভয়ে তাঁরা স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করতে পারছেন না।
প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে বাদীর ভাইপুত হাঁতভাঙ্গা বিষয়ে ফাইতং নয়াপাড়া জানতে চাইলে বিবাদীরা প্রভাবশালী হওয়ায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকায় কয়েকজন জানান, বাদীর ভাইপুত তাজফিকুর রহমান মালেক ড্রাইভার বাড়ির পাশে রাস্তায় বাইসাইকেল থেকেই পড়ে হাঁতভাঙ্গে অন্যকোনো ঘটনা বিষয় জানেন'না বলে জানায় তাঁরা। এ ব্যাপারে মন্তব্যর জন্য মামলার বাদী মো. আমান উল্লাহ সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
সাকের মোহাম্মদ চর পুরাতন জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আলমগীর জলিল এই বিষয় জানান, ঐদিন এখানে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। চৌকিদার আবু ছৈয়দ এ'বিষয় জানান, ২৩ এপ্রিল এখানে কোনো ঘটনা ঘটেনি বাদি-বিবাদি সঙ্গে। স্থানীয় কাকারা ইউনিয়ন সাইফুল ইসলাম বলেন, মারধরের কোনো ঘটনাই এখানে ঘটেনি। বাদীর ভাইপুত বাইসাইকেল থেকেই পড়ে ফাইতং হাত ভেঙে যায়। কিছু লোকের প্ররোচনায় বাদী মিথ্যা মামলা দিয়ে কিছু নিরীহ লোককে হয়রানি করছে।