ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় দায়ের করা একজন রিক্সা চালককে কথিত মারধরের অভিযোগের মামলায় ৮৩ জন আসামির মধ্যে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম না হলেও নিরীহ একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এই মামলায় একজন তরুণ সাংবাদিক এবং কলাম লেখক ওসমান এহতেশামকে তারা খুঁজে পেলেন, তাও আবার সাংবাদিকদের গণমাধ্যম দিবসের গভীর রাতে। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক সমাজের মাঝে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
৩ মে রাত দুইটায় শতাধিক টোকাই তার চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকার বাসায় পাঠিয়ে গ্রেপ্তার করা হলো! সাবেক কাউন্সিলর ইয়াসিন চৌধুরীর ইন্ধনে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কারাবন্দি সাংবাদিক ওসমানকে দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। অবিলম্বে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। তিনি স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের ক্ষুব্ধ না হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ধৈর্যধারণের জন্য অনুরোধ করেছেন।
রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বর্তমান সরকার যে কাউকে গ্রেফতার না করার নির্দেশনা দেওয়ার পরেও একজন তরুণ সাংবাদিককে এভাবে মব সৃষ্টি করে তার বাসা বাড়িতে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে গ্রেপ্তার করা চরম বেআইনি এবং সাংঘর্ষিক বলে আমরা মনে করি।
সংগঠনের পক্ষ থেকে এও বলা হয়েছে কোন মামলা বা অভিযোগের তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগে কোন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা যাবে না। বিষয়টি রাষ্ট্রযন্ত্রের আইন- প্রশাসন এবং বিচারবিভাগ সহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।