পটুয়াখালী দুমকি উপজেলার বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ছাত্রলীগ নেতা নাঈম ওরফে ‘টয়লেট নাঈম’কে অবশেষে প্রকাশ্যে পেয়ে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে দুমকি উপজেলা ছাত্রদল। নাঈম পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং দুমকি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশীদের পিএ হিসেবে কাজ করতেন। শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে লেবুখালি পায়রা সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন আত্ম গোপনে থাকা নাঈমকে হঠাৎ করে সেতু এলাকায় দেখতে পেয়ে ধাওয়া করে আটক করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা, এ সময় দুমকি উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুমন শরীফসহ স্থানীয় ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রদলের অভিযোগ, টয়লেট নির্মাণসহ নানা সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাল কাগজ তৈরি করে অর্থ আদায়, চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে টাকা নেওয়া, এমনকি সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অনিয়মের কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে জমে ছিল। একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “টয়লেট ও টিউবওয়েলের টাকা পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছে, এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না, এ ধরনের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।” ছাত্রদল নেতারা বলেন, “১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনামলে আওয়ামী দোসররা দুমকিকে লুটপাটের জোনে পরিণত করেছে, টয়লেট নাঈম ছিল তার বড় উদাহরণ, আমরা তাকে আইনের হাতে তুলে দিয়ে প্রমাণ করেছি অপরাধী যেই হোক, ছাড় নয়।” এ বিষয়ে দুমকি থানার ওসি বলেন, “আটককৃত ব্যক্তি বর্তমানে থানায় হেফাজতে রয়েছে, অভিযোগ যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত, নাঈম দীর্ঘদিন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ডিনের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে সরকারি বরাদ্দের টাকা উত্তোলনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে। তবে এলাকাবাসী দ্রুত এ ঘটনায় তদন্ত ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
Leave a Reply