নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার পাটোয়ারীহাট ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক নিরব তালুকদারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ঈদ ভিজি এফের চাল বিতরণের জাল টোকন তৈরি করে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ষড়যন্ত্র করে তার সুনাম ক্ষুণ্ন করাসহ মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক অপপ্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার। ১৭ (জুন) মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে আলাপকালে সাংবাদিকদের কাছে এমনি অভিযোগ করেন তিনি। এসময় অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমি বিএনপির একজন পরীক্ষিত কর্মী, দীর্ঘদিন পাটোয়ারীহাট ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম, পরবর্তী প্রায় আট বছর যুগ্ন আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, পতিত সরকারের আমলে অনেক হামলা-মামলার শিকার ও নির্যাতিত হয়েছি, বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, বেশ কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক ও পারিবারিক সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য কতিপয় একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী পাটোয়ারীহাট ইউপির ১.২.৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য, স্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে আমিও পরিষদের একজন জনপ্রতিনিধি, সেই সুবাধে গেল ঈদুল আজহা উপলক্ষে পরিষদে আসা সরকারের দেয়া ঈদ ভিজিএফের ২৫০টি (১০ কেজি চালের) টোকেন বরাদ্দ পাই। এলাকার গরীব অসহায় পরিবারের মাঝে ওই টোকেন বিতরণ করে দেই। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার কৌশল হিসাবে জাল টোকন তৈরি করে, ওই টোকন নিজস্ব লোকের হাতে ধরিয়ে দিয়ে চাল সংগ্রহ করতে পাঠায়, পরে চাল সংগ্রহ করতে গেলে ইউনিয়নের প্রশাসক ও ট্যাগ অফিসারকে দিয়ে আটক করায়। এবং নাটকীয় সুপারিশে তাদেরকে চাল না দিয়ে ছেড়ে দেন। এভাবে ১১টি জাল টোকন আটক করা হয়। একটি পক্ষ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ওই টোকেন আমি জাল করেছি বলে অপপ্রচার করে। এমনকি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রচার করায়।
তিনি বলেন, পলাতক সরকারের আমলে আমার স্ত্রী ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। সে সুবাদে বিগত ৭ বছর ধরে আমি ওই ইউনিয়ন পরিষদের সকল কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত, যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ করেছি, চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামী লীগের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক, অধিকাংশ মেম্বার আওয়ামী লীগের, আমি বিএনপি করার কারণে পরিষদের যে কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা হতে বরাবরই আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের সাথে হাত মিলিয়ে সকল মেম্বাররা করেছে দূর্ণীতি, চেয়ারম্যান ছিলেন মহা দূর্ণীতিবাজ, আর চেয়ারম্যানের ডানহাত ছিল বশির মেম্বার, কিন্তু সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর প্রশাসক নিয়োগ দিলেও আগের সে সিন্ডিকেট এখনো রয়েছে সক্রিয়। মুলত আগের সে সিন্ডিকেট এখনো বহাল থেকে সকল ধরনের দূর্ণীতি করছে, আমি তাদের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে টোকেন জালিয়াতির ঘটনা সৃষ্টি করা হয়েছে। আমার সাথে পরিচয় নাই এমন দুজন ব্যক্তির মনগড়া ও বানোয়াট মিথা তথ্য মোবাইলে ভিডিও করে আমার বিরুদ্ধে টোকেন জালিয়াতির শিখানো বক্তব্য ফেসবুকে প্রচার করে হয়েছে, যাহা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি করার কারণে একাধিক মামলা হামলার শিকার হয়েছেন, পলাতক সরকারের আমলে পাটোয়ারীহাট মাছ ঘাটের আড়তদারি ব্যবসা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে, একটি মোটরসাইকেল ও বাজারের দোকানভিটি পর্যন্ত কেঁড়ে নিয়েছেন পতিত আওয়ামী লীগের দোসররা। এতো কিছুর পরও তিনি দলের জন্য নীতি পরিপন্থী কাজ করেননি, থেমেও যাননি। কিন্ত দলের সুসময়ে এসে নিজের পরিষদের কতিপয় সদস্যদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি। এমনকি মানসিক ও শারীরিক হেনস্তারও শিকার হতে হয়েছে তাকে। যারা কিনা জনগণের জন্য আসা সরকারি বরাদ্দ লুটেপুটে খেয়ে কুমির হয়েছেন এখন তাদের মানচিত্রটা ঘিলে খাওয়া বাকি।