শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি:- শার্শা সাবরেজীষ্ট্রি অফিসের একজন নকল নবিশের মাধ্যমে লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে প্রকাশ মোহরার মিলনের কুট কৌশলে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের একজন নকল নবিশ দীর্ঘ দিন যাবৎ অবিকল নকল দলিল উত্ত¡লন করে তা রেজীষ্টারে এন্ট্রি না করে প্রতি সপ্তাহে সর্বনিম্ন ১০-২০ টি দলিল এন্ট্রি না করে দলিল গ্রহিতাদের সরবরাহ করতো। আব্দুল্লাহ আল মামুন দলিল রেজীষ্ট্রি করার পর দলিল গ্রহিতাদের আবেদননের পরিপ্রেেিত প্রত্যেক সার্টিফাইড দলিল সরবরাহের নামে ১৫ শত টাকা হারে আদায় করে আসছিল দীর্ঘ দিন। প্রকৃত পে সার্টিফাইডকৃত একটি দলিলের সরকারী ফি দিতে হয় ৮৫০ টাকা।
অভিযোগে জানা যায় মোহরার শরিফ রানা নকল ডেলিভারি রেজীষ্টার খাতা অফিশিয়াল ভাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পর লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাকি দেওয়ার জন্য মোহরার মিলনের নির্দ্দেশে এবং নকল নবিশ লিয়াকতের মাধ্যমে নকল নবিশ আব্দুলাহ আল মামুন কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় মোহরার মিলন শার্শা সাবরেজীষ্ট্রি অফিসে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন খাত থেকে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ৫ই আগষ্টের পূর্বে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি /সাধারণ সম্পাদকদের মাধ্যমে জমির শ্রেণী পরিবর্তন দেখিয়ে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিগত ১৬ বছর এভাবেই চলে মিলনের অর্থ আয়ের মহৎসব।
প্রত্যেকটি রাজস্ব খাতের তোসরুপ ও আত্মসাথের সাথে মিলনের হাত রয়েছে। সম্প্রতি গত ৬ই এপ্রিল দলিল লেখক সমিতির হাতে ধরা পড়ে নকল নবিশ আব্দুল্লাহ আল মামুনের জালিয়াতির ঘটনার পর থেকে পুনঃরায় দায়িত্ব প্রাপ্ত মোহরার শরিফ রানা নিজেই নকল ডেলিভারি দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েচে। কিন্তু রাজস্ব ফাকির এতবড় একটি ঘটনা ঘটে গেল সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনই ব্যবস্থা গ্রহন করেননি শার্শা সাব রেজীষ্টার কর্মকর্তা। এ ব্যপারে শার্শা সাব রেজীষ্ট্রার কর্মকর্তার সাথে এক স্বাাতকারে জানা যায় বিষয়টি সর্ম্পকে তিনি কিছুই জানেন না। এলাকাবাসি ঘটনার তদন্ত দাবী করে জানিয়েছেন ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করা হউক।
Leave a Reply