মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা ব্যুরো প্রধান। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), এলিট ফোর্স হিসেবে অত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদক বিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক চোরাচালানের বিভিন্ন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় সিপিসি-৩ যশোর, র্যাব-৬ কর্তৃক উক্ত মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট আসামিদের আইনের আওতায় আনতে আভিযানিক দল কর্তৃক গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রাতে র্যাব-৬,যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল জানতে পারে যে,মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একজন পলাতক আসামি মোঃ বিপ্লব হোসেন বাবু (৪৩) যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন কাজীপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি ১৬ এপ্রিল মধ্য রাতে উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ বিপ্লব হোসেন বাবু (৪৩), পিতা-মোঃ ফারুক হোসেন শিরু, সাং-পুলিশ লাইন কদমতলা, থানা- কোতয়ালী, জেলা- যশোরকে গ্রেফতার করে। আসামি মোঃ বিপ্লব হোসেন বাবু যশোর জেলাসহ আশেপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত মাদকের ব্যবসা করে আসছিল।
২০১৭ সালে আসামি মাদক ব্যবসা পরিচালনাকালে ১২৫ গ্রাম হেরোইনসহ আটক হয় এবং তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। বর্ণিত আসামি উক্ত মামলায় ১১ মাস জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক থাকে। মামলার বিচারকার্য় শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামি মোঃ বিপ্লব হোসেন বাবুকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। আসামি আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে র্দীঘদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। পরবর্তীতে সিপিসি-৩, র্যাব-৬ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে আসামিকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও উক্ত আসামির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ও একটি মারামারি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply