সাত্তার আব্বাসী (সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি): সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর ভাঙনে শতাধিক বাড়িঘর নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে অনেক পরিবারই খোলা আকাশের নিচে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন।
শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের হাট পাঁচিল গ্রামের ৭০ বছর বয়সী বিধবা নারী সখিনা খাতুন স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ৩ ছেলে ও ৩ মেয়েকে নিয়ে একটি জরাজীর্ণ ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছিলেন। নতুন ঘর নির্মাণের সামর্থ্য ছিল না বিধবা সখিনার।
সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে অসহায় মানুষদের সহায়তা প্রদানের বেশ কিছু উদ্যোগ দেখা গেছে। তেমনি যমুনা নদী ভাঙ্গনে গৃহহীন অসহায় পরিবার নিয়ে কাজ করেন হাট পাঁচিল গ্রামের মানবিক যুবক ইয়াসিন সরকার চতুর ও মোঃ শাহীন আলম।
তারই অনুপ্রেরণায় চতুর ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৭ তারিখ তার ফেসবুক পেজে একটা লাইভ দেয়। সেই লাইভ দৃষ্টি আকর্ষণ করে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শেরপুর জেলার “নকলা অদম্য মেধাবী সংস্থা”র প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আবু শরীফ কামরুজ্জামান সাহেবের।
পরবর্তীতে কামরুজ্জামান সাহেব ইয়াসিন সরকার চতুরের সাথে যোগাযোগ করে যমুনা নদীর ভাঙ্গনে গৃহহীন ৪জন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। সেই প্রেক্ষিতে “নকলা অদম্য মেধাবী সংস্থা”র প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আবু শরীফ কামরুজ্জামান সাহেব চার পরিবারের মধ্যে প্রথম পরিবার বিধবা সখিনা খাতুন এর ঘর নির্মাণের কাজ গতকাল সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং সম্পন্ন করে বিধবা সখিনা খাতুনের নিকট ঘর হস্তান্তর করেন।
স্বামী হারা গৃহহীন বিধবা সখিনা খাতুন নতুন ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা এবং তাদের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করেন। “নকলা অদম্য মেধাবী সংস্থা”র প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আবু শরীফ কামরুজ্জামান সাহেব পরবর্তীতে তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া আরো তিন পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দিবেন।
এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ সমাজের অসহায় মানুষের জীবনে স্বস্তি ও আনন্দ বয়ে আনছে এবং ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর একটি কার্যকর মাধ্যম হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
Leave a Reply