নওগাঁ প্রতিনিধি: প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে নওগাঁর নিয়ামতপুর গাবতলি বাজারে নিজস্ব মালিকা জমি, নকশা’র রাস্তাসহ ১ নাম্বার খাস খতিয়ানের পুকুর ও পুকুর পাড় খনন করছে প্রভাবশালী সেলিম নামে এক ব্যক্তি,এযেনো দেখার কেউ নেই। মালিকা ৪ শতাংশ, সরকারি সোয়া তিন বিঘা খাস জমি দখল করে পুকুর খনন করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়ননের গাবতলি বাজারের রাউতাড়া মৌজার ছাতড়া রোড়ের মালিকা জমিসহ নকশা’র রাস্তা ( ৭৫ ফিট) ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত সোয়া তিন বিঘা জমি দখল করে অবৈধভাবে পুকুর খনন করেছেন। সেলিম সোনার নিয়ামতপুর উপজেলার কৃষক দলের সদস্য। তিনি গাবতলি বাজার এলাকার মৃত ইছা উল্লা সোনারের ছেলে। ইউনিয়ন কৃষক দলের আহবায়ক পদ পাওয়ার কিছু দিনের মাথায় তিনি গাবতলি বাজার সরকারি খাস সম্পত্তিতে পুকুর খনন করায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, এতে করে স্থানীয় গাবতলি রবিদাস পাড়া অনেক ভূমিহীন সরকারি ওই সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, সেলিম ও তার ভাই বাবু সোনার প্রভাবশালী হওয়ায় ওই সোয়া তিন বিঘা সরকারি খাস সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে আসছেন। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে গত কয়েকদিন আগে থেকে ওই খাস সম্পত্তিতে স্কেভেটার (ভেকু) মেশিন দিয়ে দিন-রাতে গভীর পুকুর খনন করেছে। গাবতলি গ্রামের মাহাবুর প্রাং,আজিজ খাঁ ও আনিছার প্রাং বলেন, সরকারি ওই খাস সম্পত্তিতে পুকুর খননের বিষয়টি প্রথম থেকেই উপজেলা , স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতো। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ করেন তারা। এবিষয়ে ভুক্তভোগী আনিছার রহমান জানান, আমার নিজস্ব জমি ৮ শতকের মধ্যে ৪ শতক জমি রাস্তাসহ পুকুর মধ্যে আছে। সেলিম সোনার ও তার ভাই বাবু সোনার নিয়মনীতি না মেনে নকশার রাস্তাসহ ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত জমিতে পুকুর খনন করছেন। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে ও কোন সুব্যবস্থা হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সেলিম সোনার জানান, পুকুর খননের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ওই সম্পত্তি লিজ নিয়ে ভোগ দখল করে আসছি। জমিটা আগে থেকেই পুকুর । তাই পুকুর খনন করে পাড় বেঁধে নিয়েছি। সরকারি জমি, নকশা’র রাস্তা ও মালিকানা জমি তারা কিভাবে পুকুর খনন করলেন এমন প্রশ্নে তিনি কোন সদত্তর দিতে পারেননি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজাউল করিম বলেন, উক্ত পুকুর হাইকোর্টে স্ট্রে রায় আছে।এজন্য আমার কোনকিছু করার নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো: মেহেদী হাসান জানান, গাবতলি পুকুর খননের বিষয়টি জানি কিন্তু ১৪৫,১৪৪ ধারায় অভিযোগ করেন। পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply