স্টাফ রিপোর্টার:সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইলে আওয়ামী দোসরদের মদদ দাতা ডেস্কি বাবুল এক মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাবুলের সামাজিক অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় জনসাধারণ এবং বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা। পাঠানটুলী আইলপাড়া এলাকার জামাই হিসেবে পরিচিত দেলোয়ার হোসেন বাবুল ওরফে ডেস্কি বাবুল স্বৈরাচার ফ্যসিবাদ সরকারের আমলে আওয়ামী নেতাকর্মীদের সাথে আতাত করে চলত, কিন্তু সে গোদনাইল ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। গোদনাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি শাহজাহানের সাথে তার ছিল দহরম মহরম সম্পর্ক। এক কথায় বলা যায় পা চাটা কুত্তা হিসেবে ব্যবহার হতো এই ডেস্কি বাবুল। শাহজাহানের কথায় ডেস্কি কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সহ বিভিন্ন উপায়ে হামলা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসতো।
এছাড়াও সাবেক এমপি শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী গোদনাইল আওয়ামী লীগের নেতা মহসিন ভূইয়া ও তার বাহিনীর সাথে উতোপ্রতোভাবে জড়িত ছিল এই ডেস্কি বাবুল। বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে প্রপাকান্ডসহ অপপ্রচার চালিয়ে সামাজিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতো ডেস্কি বাবুল। এখনও এলাকার মুরুব্বীসহ যাকে তাকেই অশ্লীল ভাষায় যেখানে সেখানে বকাবাজি করে যাচ্ছে। মানুষ রূপী হায়না ডেস্কি বাবুল সমাজে একটি বিশৃঙ্খল লোক। তার বিশৃঙ্খলতায় মানুষ তাকে এখন সমাজের বোঝা মনে করে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের জনপ্রিয় সাবেক মহিলা কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দীনার বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালিয়ে রাজনৈতিক ভাবে হয়রানীর চেষ্টা চালিয়েছে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অথচ আয়শা আক্তার দীনা বিএনপির একজন রাজপথের লড়াকু সৈনিক এবং স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদের আতঙ্ক ছিল।
বিএনপির হওয়া স্বত্বেও ডেস্কি বাবুল নিজ দলের দীনাকেও ছাড়েনি। স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটলেও ডেস্কি বাবুলের পতন এখনো ঘটেনি। বিএনপির নাম ব্যবহার করে ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী হত্যাকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে এই বাবুল। বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামীদের রক্ষাও করছে বেয়াদপ ও কুলাঙ্গার জামাই বাবুল। এলাকায় যার কোন অস্তিত্ব নেই সেই এখন এলাকায় রাম রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। চাঁদাবাজিসহ গ্যাস লাইন, এলাকার চোর, ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দাতা হিসেবে সবাইকে লালন পালন করে যাচ্ছে নিজ গুণে। এলাকাবাসী জানতে চায় এই ডেস্কি বাবুলের খুঁটির জোর কোথায়? কার শেল্টারে বাবুল এলাকায় এতো আকাম কুকাম করে পার পেয়ে যাচ্ছে।
এতে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পবিত্র এই রমজানেও এলাকার মধ্যে বিভাজন তৈরি এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঈদ উদযাপনকে ধূলিস্যাত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ালী লীগের পা চাটা কুত্তা বাবুলকে দ্রুত বিএনপি থেকে বহিস্কার করে ঝঞ্জাল মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে ৮নং ওয়ার্ডের দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে ডেভিল হান্টের অভিযানসহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
Leave a Reply