স্টাফ রিপোর্টার:স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পরও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এখনও উৎপাত করছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী আব্দুর রহমান সেন্টু ও সানমুন বাহিনীর অস্ত্রের মহড়ায় পাঠানটুলী আইলপাড়াবাসী শংকিত ও আতংকিত রয়েছে। পবিত্র ঈদের আরমাত্র কয়েকদিন বাকি এরই মধ্যে সেন্টু ও সানমুন বাহিনীর অস্ত্র ও হুন্ডার মহড়ায় এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। রাতভর তাদের চলে তান্ডব। এলাকায় চুরি, ছিনতাই, রাহাজানিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে এই বাহিনী। অথচ দেখার কেউ নেই, বলারও কেউ নেই। এলাকায় বিএনপি নামধানী কিছু সুবিধাভোগী নেতাদের আশীর্বাদে সানমুন ও সেন্টু প্রকাশ্যেই ঘোরাফেরা করছে এবং অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।
ফতুল্লা থানার ৩৪নং মামলার ৮৭নং এজাহার ভুক্ত আসামী আব্দুর রহমান সেন্টু ও ৮৮নং আসামী সানমুন এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছে এলাকাবাসী। আজমির ওসমানের হুন্ডা বাহিনীর সদস্য সন্ত্রাসী ইয়াবাখোর সানমুন এলাকায় কিশোর গ্যাং তৈরি করে বিভিন্ন মানুষকে হুমকী ধামকী এবং রাতের আধারে হামলাও করে ক্ষয় ক্ষতি করে যাচ্ছে। আর প্রতারক লুচ্চা নারীখোর সেন্টু এলাকায় বিভিন্ন বাসাবাড়ীতে নারীদের উত্ত্যক্তসহ যৌন হয়রানী করে যাচ্ছে। আইলপাড়া এলাকার স্বপনের শ্বাশুড়ির সাথে আকাম কুকাম করেও ধরা খেয়েছিল এই সেন্টু। মদদি নেশাখোর সেন্টু ও ইয়াবা খোর সানমুনের অত্যাচারে এলাকাবাসী শুধু অতিষ্ঠই নয় তার বাহিনীর সদস্য রাজু, মাস্তান, রায়হান, রাহাত, জয়, রিফাত, মিলন, কৈশিক, উজ্জ্বল, জোবায়েরসহ আরো কয়েকজন কিশোর গ্যাং এলাকার মধ্যে দিন নাই রাত নাই সবসময় অস্ত্র হাতে চলাফেরা করে মানুষকে জিম্মি করে টাকা পয়সা লুটে নিচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গা জমি দখল করারও চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
নারী লিপ্সু সেন্টুর মেয়ের জামাই গাজা ও ইয়াবা খোর স্বদেশ সেই শিবু মার্কেট থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পাঠানটুলী আইলপাড়া এলাকায় উৎপাত চালায় এবং রাম দা, রিভারবল, চাপাতিসহ বিভিন্ন অস্ত্রশজ্জে সজ্জিত হয়ে জামাই শ্বশুর সম্বন্দি মিলে এক অরাজকতার পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসনে ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের সহ সংশ্লিষ্ট থানায় বিষয়টি অবগত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ পুলিশ বলছে সেন্টু ও সানমুন যেহেতু বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলার আসামী এবং আওয়ামী দোসর সেহেতু শীঘ্রই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হবে। আমাদের সোর্সরা এলাকায় কাজ করছে এবং তারা নজরদারিতে রয়েছে।
Leave a Reply