মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি – বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের একান্ত ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ১৯৭১ সালে সালের ৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণস্থনে জাতির পাশে থাকা মিডিয়া ভুক্ত মুন্সীগঞ্জের আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। বঙ্গবন্ধুর ক্যাডার হিসেবে ১৯৭১ সালের পর থেকে ক্ষমতারপ্রভাবে তিনি রাজনীতিবিদ কৌশলে সন্ত্রাসী তৈরি, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অনিয়ম দুর্নীতি, হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল, বালু মহল মাদক ব্যবসার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করার অস্ত্র বানিজ্য সম্পদ অর্জনের নানা প্রশ্নবিদ্ধ রয়েছে অত্যাচারের সাধারণ মানুষের জনসম্মুখে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ২০২৪ সালে ৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেছেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সভাপতি জনাব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এর পরিবার। সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মুন্সীগঞ্জ জেলা শহরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ ও যুবলীগসহ ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ওপরে সশস্ত্র হামলায় তিনজনসহ কয়েকজনে নিহত ঘটনা ঘটে। গত ৪ আগস্ট শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে জেলা সদরের চরাঞ্চল থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এর পুত্র সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব ও তার স্ত্রী মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিন ও মিরকাদিম পৌরসভার আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার জন্য অস্ত্র-ককটেল নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন ২-৩ হাজার দলীয় নেতাকর্মী ও অনুসারীরা। এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় তিনটি আওয়ামী লীগের সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ হত্যা, দুটি হত্যাচেষ্টাসহ পাঁচটির ওপরে মামলা দায়ের হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, সার্বক্ষণিক অভিযান চেষ্টা চলছে তদন্তে সাপেক্ষে গ্রেপ্তারে আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply