1. admin@dainikajker-bangladesh.com : ajkerbangladesh :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

তাড়াশে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কৃষক দল সভাপতির সংবাদ সম্মেলন 

  • প্রকাশিত : রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৮৯ বার পাঠ করা হয়েছে

এম দুলাল উদ্দিন আহমেদ,সিরাজগঞ্জ: কয়েকদিন আগে সিরাজগঞ্জের তাড়াশের দেশীগ্রাম ইউনিয়ন কৃষক দলের কমিটি ঘোষণা করে উপজেলা কৃষক দল। ঘোষিত কৃষক দলের সেই কমিটিতে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন-সম্পাদককে সভাপতি করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ তোলে একটি স্বার্থন্বেষী মহল। কিন্তু কৃষক দলের নবগঠিত কমিটির সভাপতির পদ পাওয়া মো. বাসেদ আলীর দাবি সেই অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। শুধুমাত্র তার সম্মানহানির জন্যই এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। এসময় কথা বলতে বলতে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।

তিনি বলেন, যে কমিটির কাগজ দেখিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে আসলে সেটা ভুয়া। বাস্তবিকভাবে ওই ইউনিয়নে ওই সময়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো কমিটিই হয়নি। বাসেদের এই কথার সত্যতাও মিললো দেশীগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে কথা বলে। তিনি জানালেন, এখানে ৫-৬ বছর আগে শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি কমিটির অনুমোদন হলেও আজ অবধি এখানে কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটিই হয়নি।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাড়াশ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন দেশীগ্রাম ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মো. বাসেদ আলী। তিনি মনে অত্যন্ত কষ্ট নিয়ে সাংবাদিকদের সরনাপন্ন হয়েছেন জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে বলেন, দেশীগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন-সম্পাদককে ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি করা হয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ তোলা হয়েছে এবং সেটি একাধিক গণমাধ্যমে কোনপ্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু আমি বুকে সৎ সাহস নিয়ে বলতে চাই উথ্যাপন করা অভিযোগ ও প্রকাশিত সংবাদটি সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সম্পুর্ন উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে এবং দল ও দলের নেতাকর্মীদের হেয় প্রতিপন্ন ও সুনাম নষ্ট করার জন্যই এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। এবং তা যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও টাকার বিনিময়ে কমিটি গঠনের যে অভিযোগটি তোলা হয়েছে সেটাও সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।এখানে কমিটি গঠনে কোনো প্রকার টাকা-পয়সা লেনদেন হয়নি।

বাসেদ বলেন, এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির যে তালিকা উথ্যাপন করা হয়েছে সেটিও ভুয়া। আদৌ সেই সময়ে (২০২২ সালে) এই কমিটিও হয়নি এবং সেখানে অনুমোদন করা কতৃপক্ষের কোনো সীল-স্বাক্ষারও নেই। এছাড়াও ওই কমিটির সঙ্গে আমারও কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি খোজ নিয়ে যতটুকু জেনেছি ওখানে ২০১৮ বা ১৯ সালে শুধুমাত্র সভাপতি ও সম্পাদক দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি কমিটি করা হয়েছিল। এর প্রায় ১৫ বছর আগে ওখানে একটা পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল বলেও জেনেছি। যেখানে কমিটিই নেই সেখানে আমার পদে থাকার প্রশ্ন ওঠাটা হাস্যকর। শুধুমাত্র আমাকে এবং দল ও দলের নেতাকর্মীদের সম্মানহানি ও হয়রানি করার জন্যই এই অভিযোগ তোলা হয়েছে এবং তা কতিপয় সাংবাদিক দায়িত্বহীনতার সাথে বা ব্যাক্তি স্বার্থে যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রচারও করেছেন। বরং আমি ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির মতাদর্শ নিয়ে ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। চান্দাইকোনা কলেজে পড়া অবস্থাতেই ছাত্রদলের রাজনীতি করেছি।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম হলো সমাজের দর্পন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকদের কলমের কালি সবচেয়ে পবিত্র হিসেবে জানি। আমরা এই সমাজে সম্মান নিয়ে থাকি, কিন্তু যখন যাচাই-বাছাই ছাড়াই কোনো সাংবাদিক কিছু লিখে আমাদের সম্মানহানি করে তখন সেটা খুব কষ্টের হয়ে যায়, সমাজে চরম সম্মানহানি হয়। শুধুমাত্র আমাকে, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি-সম্পাদককে এবং দল ও দলের নেতাকর্মীদের সম্মানহানি ও হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্য নিয়েই গুটিকয়েক সুবিধাবাদী মানুষ দিয়ে এই মানববন্ধন করা হয়েছে ও এর সংবাদ প্রচার করানো হয়েছে। আমি আবারও বলছি- এতে আমার, আমার দলের ও দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপকভাবে সম্মানহানি হয়েছে। আমি কোনপ্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রকাশ করা এই সংবাদের তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ওই মানববন্ধন ও সংবাদ প্রকাশে আমার মানের চরম হানি করা হয়েছে মর্মে এই বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারেও ভাবছি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এসময় বাসেদ কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি পরিশেষে আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো আপনারা আমার কথাগুলো প্রয়োজনে যাচাই-বাছাই করবেন। আদৌ যদি সেখানে কমিটিই না থাকে তাহলে আমাকে এবং আমার দলের নেতাকর্মীদের উপরে কেন এতবড় দোষারোপ করা হলো, সম্মানহানি করা হলো। এর বিচার এই মুহুর্তে আমি আপনাদের, এই রাষ্ট্রের, প্রশাসনের ও সকল স্তরের জনগণের উপরে দিলাম।

এব্যাপারে দেশীগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম. রুহুল আমিন বলেন, এই ইউনিয়নে ২০১৮ বা ১৯ সালে শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই পদ দিয়ে একটি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানে আমাকে সাধারণ সম্পাদক ও সুলতান মাহমুদকে সভাপতি করা হয়। এরপর আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা থাকলেও সেটি আর করা হয়নি। এখন এই ইউনিয়নে কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটিই নেই।

বাসেদ আলীর ওই কমিটিতে যুগ্ন-সম্পাদক পদে থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে পূর্ণাঙ্গ কমিটিই নেই সেখানে তিনি যুগ্ন-সম্পাদক কীভাবে হবেন। এই তালিকা কীভাবে আসলো সেটাই জানেন না জানিয়ে তিনি বলেন, আমি বাসেদকে সেভাবে চিনিনা পর্যন্ত। আমার সঙ্গে তিনি কখনো রাজনীতিও করেন নি।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদটি শেয়ার করুন
© All rights reserved © 2025
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি