মোঃ সুজন বেপারী – মুন্সিগঞ্জ টু নারায়ণগঞ্জ সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম ছিলো চিহ্নিত শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমান অন্তত ১৬টি হত্যার মামলার ওপরে আসামি হয়েও শহর দাপিয়ে বেড়াতেন, এদিকে অন্যতম বঙ্গবন্ধুর খুনি ঘনিষ্ঠ ক্যাডার মুন্সিগঞ্জ জেলা সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদ এর পুত্র খুনি থেকে দরবেশ সাবেক মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাজী ফয়সাল বিপ্লব কয়েকটি হত্যার মামলার আসামি হলেও সরকার পতনের পর চলেগেলেন আত্মগোপনে চিহ্নিত শীর্ষ পর্যায়ে আজমেরী ও বিপ্লব।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে একের পর এক অপরাধ করে গেলেও বিচারের সম্মুখীন হতে হয়নি আজমেরী ও বিপ্লব, শীর্ষে পর্যায়ে আন্ডার ওয়ার্ল্ড যোগাযোগের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কায়েম অত্যাচার বহু টর্চার সেল নির্মাণ করে গুম, খুন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, ক্যাডার বাহিনী নিয়ন্ত্রন, দুর্নীতি ও অনিয়মসহ নিজ দলের রাজনীতিবিদদের ঘায়েল ও প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা, অস্ত্র বানিজ্য, ধর্ষণ অপহরণ নানা এমন কোন অপকর্ম তারা করেননি রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সন্ত্রাস আর ত্রাসের পেশির জোরে প্রাচ্যের ড্যান্ডি খ্যাত মুন্সিগঞ্জ টু নারায়ণগঞ্জ রাজত্ব করেছিলেন অবৈধ ক্ষমতার রাজনীতির কৌশলে কোটি টাকার ব্যাবসার মাধ্যমে পরিচিত আজমেরী ও বিপ্লব।
এতটা নির্যাতিত হতো যে কেউ তার মতের বাইরে গেলেই তাকে নানাভাবে হুমকি-ধামকির শিকার হতে হতো। জনসাধারণের মুখে মুখে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কথা, এতটাই ভয়ঙ্কর যে তাদের পালিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতঙ্ক ছিলো পাল সাম্রাজ্যের মতো শাসন করতেন তাঁরা। ছাত্র-জনতার রক্ত আর হাজারো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের স্বৈরাচার শাসনের অবসান হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। তখন জুলাইয়ের শুরু— সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের সঙ্গে তুলনা করে বক্তব্য দেন সাবেক সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।
তার এমন মন্তব্যে রাজপথে অভিনব প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা। তখন শিক্ষার্থীদের আবেগ বুঝতে না পেরে উল্টো তাদের ওপর আক্রোশ মেটান আওয়ামী লীগ সরকার ও দলটির শীর্ষ পর্যায়। শুধু তাই নয়, তৎকালীন ক্ষমতাসীন সাবেক আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। পিটিয়ে রক্তাক্ত করে নারী শিক্ষার্থীদেরও। সেই হামলাই গণবিস্ফোরণের বীজ বপন করে দেয়। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে শিশু-কিশোর-যুবক নারীসহ অন্তত ১ হাজার জনের অধিক প্রাণহানি ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা-নির্যাতনে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে রাঘব বোয়াল চুনোপুঁটি কেউ ছাড় পাবে না। যারা শয়তান, তারাই ডেভিল হান্টে ধরা পড়বে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারাও ছাড় পায়নি।অপারেশন ততদিন চলবে যতদিন ডেভিল মুক্ত না হবে।
Leave a Reply