1. admin@dainikajker-bangladesh.com : ajkerbangladesh :
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২,৫০০ কেজি হিরোইন সহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক রূপগঞ্জের মাসকো স্কুলে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত কার্নিভাল অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি সদস্য গ্রেফতার সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য মনোনীত হলেন শিল্পপতি রুহী আফজাল বেলকুচিতে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে যুবককে গণধোলাই আমার দেশ’ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা—ঝিকরগাছায় প্রতিবাদ তালায় ইউএনও রাসেলের পক্ষে মানববন্ধনের প্রস্তুতি, সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে উত্তাল সাংবাদিক সমাজ বন্দরে ক্রাউন সিমেন্টের গাড়ি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে আহত-১ বান্দরবানে গোসল করতে গিয়ে ২ মাদ্রাসা-ছাত্রীর মৃত্যু তালা উপজেলার বিতর্কিত ইউএনও শেখ রাসেল চাকুরি জীবনে ৯ দেশ সফল করেছেন

জাল দলিল চক্রের ছত্রছায়ায় সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান: মোটা অঙ্কের ঘুষে চিরিরবন্দরে বদলি!

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৮ বার পাঠ করা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দিনাজপুরের খানসামা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জাল দলিলের মাধ্যমে জমি আত্মসাৎ ও সাধারণ মানুষকে সর্বস্বান্ত করার এক ভয়াবহ চক্র সক্রিয় রয়েছে। এই চক্রের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান, যিনি সম্প্রতি মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে চিরিরবন্দর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বদলি হয়েছেন—এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান দীর্ঘদিন ধরে একটি দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের সঙ্গে মিলে চলেছেন। বিশেষ করে দলিল লেখক মোঃ মোজাফফর হোসেনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সমন্বয়ে একের পর এক জাল দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম, অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভূয়া তথ্য ব্যবহার করে, প্রকৃত মালিকের অজান্তে জমির মালিকানা অন্যের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।

৭ জানুয়ারি ২০২৫ (দলিল নং: ৪৪) তারিখে ৪ শতক জমি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করা হয় জনৈকা মোছাঃ অবেদা বেগমের নামে। দলিল দাতা হিসেবে যাকে দেখানো হয়েছে তার পরিচয়ই মেলেনি—আইডি নম্বরটি এক নারীর, যার নাম ছালেহা বিবি। অথচ, ব্যবহার করা হয়েছে “তরনী ব্যাধ” নামে এক অজ্ঞাত চরিত্রের পরিচয়। অভিযোগপত্রের কপি প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে, যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে—সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান এইসব জাল দলিল যাচাই না করেই অনুমোদন করেছেন, এমনকি নথিপত্রের সঙ্গতিহীনতাও উপেক্ষা করেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে।

ভুক্তভোগীদের দাবি, এইসব জালিয়াতি থেকে সাব-রেজিস্ট্রার মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ করেছেন, যা পরবর্তীতে নিজের পছন্দের পোস্টিং নিশ্চিত করতে ব্যবহার করেছেন। এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত মেহেদী হাসান বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কেউ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি। তবে স্থানীয়দের জোর দাবি—এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান ও সংশ্লিষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদটি শেয়ার করুন
© All rights reserved © 2025
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি