1. admin@dainikajker-bangladesh.com : ajkerbangladesh :
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শার্শা থানা পুলিশের অভিযানে ২ জন গ্রেফতার মুন্সিগঞ্জ জেলা দলিল রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অনিয়ম দুর্নীতি ঘুষের আখড়া ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকারী ঘুর্নিঝড়ের কথা এখনো ভুলতে পারেননি সাংবাদিক শফিউল আলম মধুপুরে বাড়ী নির্মাণে বাধা মালামাল ভাঙচুর করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অধিগ্রহণ ব্যতীত পটিয়া মডেল মসজিদ নির্মাণ, তদন্তের নির্দেশ শার্শায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে শিল্পপতি রুহী আফজালের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ অপরিচিত মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর পাশে দাঁড়িয়েছেন ইউএনও সীমা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডিএনসির অভিযানে হেরোইনসহ কথিত ভূয়া সাংবাদিক গ্রেফতার ফুলপুরে প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকারী ঘুর্নিঝড়ের কথা এখনো ভুলতে পারেননি সাংবাদিক শফিউল আলম

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৫ বার পাঠ করা হয়েছে

রয়েল দত্ত,রাউজান প্রতিনিধি:১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকারী ঘুর্নিঝড়ের ঘটনায় এখনো আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের কাছে শোকের একটি দিন । এই দিনে পরিবারের সকলকে আবারো আমার প্রিয় পুত্র মহিউদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় কাদাঁয়।আমার প্রিয় পুত্র মহিউদ্দিন ঘুর্নিঝড়ে মৃত্যুর ঘটনার পর আমি আমার পৈতৃক নিবাস রাউজানের মোহাম্মদপুরের বাড়ী থেকে চলে এসে রাউজানের ডাবুয়া ইউনিয়নের দক্ষিন হিংগলা শান্তি নগর এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি ।প্রিয় পুত্র মহিউদ্দিনের হারানো আমার পৈতৃক ঘরে আমি আর কখনো বসবাস করেনি-কান্না জড়িত কন্ঠে এই কথা গুলো বলছেন রাউজান প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক শফিউল আলম।ঘূর্ণিঝড়ের ৩৫ বৎসর অতিবাহিত হলেও ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড় এর ঘটনা এখনো কাদাঁয় রাউজান প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক শফিউল আলমকে।১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল বিকেলে শফিউল আলম তার ৭ বছরের পুত্র মহিউদ্দিনকে নিয়ে রমজান আলীর হাটে ঘুরতে যায়।ঘরে এসে বাব ছেলে আসর ও মাগরিবের নামাজ পড়ে।রাতে প্রলয়ংকারী ঘুর্নিঝড় শুরু হলে শফিউল আলম রাউজানের মোহাম্মদপুর হাড়ী চান্দ কাজীর বাড়ীর ঘর থেকে বের হয়ে প্রতিবেশীদের ঘর বিধস্ত হওয়ার দৃশ্য দেখছিল। এই সময় তার পুত্র ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ শফিউল আলমের মাতা মরহুমা দেলোয়ারা খাতুনের কান্নার শব্দ শুনে ঘরে ফিরে আসেন। তার মাতা মরহুমা দেলোয়ারা খাতুন তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,তুমি মানুষের সহায়তা করতে ঘর থেকে বের হয়েছ ।তোমার ঘরের মধ্যে তোমার সন্তান ঘরের চাপায় চিরবিদায় নিয়েছে । গভীর রাতে ঘুর্নিঝড়ের তান্ডব চলছিল সেই সময় শফিউল আলমের মাতা মরহুমা দেলোয়ারা খাতুন সহ পরিবারের সকলেই মহিউদ্দিনের লাশঁ সামনে রেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে । রাত শেষে ১৯৯১ সালের ৩০ এপ্রিল সকালে বিধস্ত বাড়ীর সামনে ,সড়কের উপর ও মানুষের বসতঘরে গাছ ভেঙ্গে পড়ে থাকায় সড়ক দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করছিলনা।পরে সকাল ১১ টায় বাড়ীর পাশে রাউজান মুহাম্মদপুর মহিউল উলুম মার্দ্রাসা সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে মহিউদ্দিনের লাশ দাফন করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদটি শেয়ার করুন
© All rights reserved © 2025
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি