সবুজ সরকার বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নারী নির্যাতন বন্ধে ন্যায় বিচারের আশঙ্কায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের ভুক্তভোগী নারী খুশী খাতুন।
রবিবার সকালে বেলকুচি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী খুশী খাতুন ও তার ভাই স্বামী নাজিম আকন্দসহ অপর আসামীগনের বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্য নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রায় সাতাশ বছর পূর্বে বিবাহ হয়, বিভিন্ন সময় আমার স্বামী যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ মারধর করে এবং অনেক সময় টাকা পয়সা দেয়ার পরেও বারবার একইভাবে টাকার দাবি করে মারধর করে। এনিয়ে বিভিন্ন সময় গ্রাম্য সালিশি মাধ্যমে মীমাংসা করলেও বার বার একইভাবে টাকা পয়সার চাপ দিয়ে মারধর করে আসছে। নানা অত্যাচারের মধ্যদিয়ে সংসার করে আসছি। আমার ৩ ছেলে-মেয়ে, এক মেয়ে এবং ছেলের বিয়ে হয়েছে। মেয়ের বিয়ে হওয়ার পর থেকে আরও বেশী নির্যাতন চালায়।
ইতিপূর্বে সার্কেল অফিসে নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ করলে সেখানে এসে নির্যাতন করবেনা বলে স্বাক্ষর করে বাড়ি নিয়ে যায়। আমি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এ ব্যপারে বেলকুচি থানাধীন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-০১, আইনের আওতায় একটি মামলা (মামলা নং ১৯৯/২৪) নারী (১১) দায়ের করি ন্যায়বিচারের আশায়। কিন্তু মামলার ধীরগতি সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মামলার অগ্রগতি হচ্ছে না। সর্বশেষ ভুক্তভোগী খুশী খাতুন আরও বলেন, ৫ লাখ টাকা আরও না দেওয়া হয় এবং কথিত ২য় বউকে না মেনে নিই। এরপর আমরা শুনতে পারি সে নাকি ২য় বিয়ে করে অন্য যায়গা কিনে সেখানে অবস্থান করছে।
আরও জানলাম ঐ বউ আরেক জনের বিবাহিত স্ত্রী এবং ঐ স্বামী একটা মামলাও করছে। তিনি বর্তমানে আটক আছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হুমকি, ধামকি দিচ্ছে। ছেলে মেয়েদের সবাইকে ভিটেমাটি ছাড়া করবে বলে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও তার লিখিত বক্তব্য উল্লেখ করেন। সমস্যা নিরসনে ভুক্তভোগী নারী ন্যায় বিচারের দাবীতে কর্তৃপক্ষের কাছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগীর ভাই আলামিনসহ তার পরিবারবর্গ।
বর্তমান নারী নির্যাতনে বাংলাদেশ উত্তাল। পরিস্থিতি এখন কন্ট্রোলে না আনতে পারলে এটা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়বে ভিসা নিশ্চিত করতে হবে দ্রুততে।
বাংলাদেশ দেশ হিসেবে অনেক এগিয়ে গেলেও জাতি হিসেবে বা ভালো মানুষ হিসেবে আমরা বরাবরই পিছিয়ে। ভাবতেই অবাক লাগে একটি সচেতন দেশে এখনো যৌতুকের মতো জগন্য ব্যাধি নিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সত্যি কথা বলতে খুশি খাতুনের মতো হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ নারী প্রতিনিয়ত এই ব্যধির দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে, না পাচ্ছে তারা তাদের প্রাপ্য সম্মান আর না পারছে সুস্থ সুন্দর জীবনযাপন করতে। অনেক পরিবার নিজেদের আত্মসম্মান এর কথা ভেবে মুখ খুলতে চায় না, সেই ক্ষেত্রে আমি খুশি খাতুন কে সম্মান জানাই তিনি সোচ্চার হয়েছেন৷ সা্মাজিক ব্যধির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি মাগুরা আছিয়া হত্যাকাণ্ড যে রকম দেশের সকল মানুষ কে নারা দিয়েছে তেমনি করে যৌতুকের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর হতে হবে, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের হাত ধরে যেমন আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি তেমনি যৌতুকের বিরুদ্ধে আমরা নতুন বাংলাদেশ চাই৷ আমি এই যৌতুকের বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দা জানাচ্ছি পাশাপাশি প্রশাসনের প্রতি আহব্বান জানাচ্ছি আসামি নাজিম আকন্দ কে কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি পেতে সহযোগীতা করার জন্য। এমনি কি খুশি খাতুন এবং তার ছেলে ইমন আলী কে তাদের বাড়ি তে ফিরিয়ে দেবার জন্য।