নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দায় দ্বিতীয় বিয়ে করার পর প্রথম স্ত্রী দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে পৈচাশিক নির্যাতনে হাত ভেঙ্গে দিয়ে বাড়ি তালাবদ্ধ করে তার পাষণ্ড স্বামী খাজেদ আলি। গুরুতর আহত অবস্থায় গৃহবধূ মারুফা মান্দা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।বিবাহের পর থেকে বছরের পর বছর ধরে যৌতুক দাবি করে আসছেন অর্থলোভী পাষণ্ড স্বামী। বিবাহের প্রায় ১৪ বছরের সংসার জীবনে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনের শিকার ওই অসহায় নারী।পিতা-মাতার সংসার থেকে দফায় দাফায় নগদ ১০ লক্ষ টাকাসহ সংসারের বিভিন্ন আসবাবপত্র নিয়ে আসার পরও তার চাহিদা মেটাতে পারে নাই।নির্যাতিত মারুফা তার আত্ম কাহিনীতে বলেন সংসার জীবনের শুরুতে আমার স্বামীর নিজস্ব কোন বাড়ি ছিল না, ভাড়া বাড়িতে থাকতাম।জীবনের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে দুটি সন্তানের ভবিষ্যৎ দেখে, লোভী স্বামীর মন জয় করতে, বিভিন্ন সময়ে গরিব বাবার অর্থ এনে আজ পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দুই সন্তান নিয়ে শান্তিতে বসবাস করছি ।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে লম্পট চরিত্রহীন নেশায় আসক্ত স্বামী খাজেদ আলী পার্শ্ববর্তী মোস্তারি নামের এক যুবতীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর থেকে আমার সংসার জীবনে অমানুষিক নির্যাতন শুরু হয়। গত ১৪ অক্টোবর/২৪ সোমবার দিনে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মেরিনা আক্তার মোস্তারি নামে ওই যুবতীকে। তারপর থেকে গৃহবধূ মারুফা উপর স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের পাশবিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলে বলে দাবি করেন নির্যাতিত ভুক্তভোগী গৃহবধূ। নির্যাতনের শিকার মারুফা পুলিশ প্রশাসনের দারস্থ হয়েও ন্যায় বিচার না পেয়ে আজ রোববার গণমাধ্যম কর্মীদের শরণাপন্ন হন।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে উপজেলার কয়াপাড়া গ্রামের মৃত রোস্তম আলির ছেলে খাজেদ আলির সাথে একই গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে মারুফার বেগমের বিয়ে হয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খাজেদ আলি মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি। এবিষয়ে মান্দা থানা (ওসি) মনসুর রহমান জানান উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য পাষণ্ড স্বামীর নারকীয় নির্যাতনের কথা বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী এলাকার নারী ও পুরুষ কেঁদে ফেলেন। এবং আইন ও প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
Leave a Reply