মো. ইসমাইলুল করিম (বান্দরবান) প্রতিনিধি : পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ থেকে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ২৫ জন শিক্ষার্থী দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মেধাতালিকায় চান্স পেয়েছে। কোয়ান্টাম সূত্রে জানা-গেছে, চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ জন সরকারি মেডিকেল কলেজে, ৩ জন চুয়েট (চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) ১ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৭ জন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ৪ জন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ২ জন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ২ জন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ১ জন গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ১ জন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে।

যারা সরকারি মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে-প্রমংউ মার্মা (জামালপুর মেডিকেল কলেজ), মীন বিকাশ ত্রিপুরা, উত্তম ত্রিপুরা ও সুষময় তঞ্চংগ্যা (রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ)। ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে কুষাই স্লো, উথোয়াইঞ চাক ও মাংরুম স্লো (চুয়েট)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে চান্স পেয়েছে-তৌওসিফ বিন নাসের। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স প্রাপ্ত ৭ জন হলো জেবেদায় বম, রুবাইয়া সুলতানা, ক্যাজসিং মার্মা, অমরকান্তি চাকমা, অমরজ্যোতি চাকমা, মতন ত্রিপুরা ও আরিফ হোসেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে আবুল হোসেন সূর্য্য, দেনওয়াই স্লো, বাদশা ফয়সাল ও মেনক শ্রো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে মংএচিং মার্মা, অরবিল চাকমা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে দীপন ম্রো, মাংপং স্লো। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে দেববর চাকমা। এছাড়া আরও ৩ জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে। থংইং খুমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মো.সাহাব উদ্দিন ও ভূবন চাকমা গুচ্ছভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে। মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়া প্রমংউ মার্মা নিজের অনুভূতি জানিয়েছে, কোয়ান্টামে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। কোয়ান্টামের কারণেই সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ অতিক্রম করতে পেরেছি।

এবারের ২৫ জনসহ এই স্কুল থেকে এপর্যন্ত আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এখান থেকে তারা স্বপ্ন দেখছে ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ বিনির্মাণের। পাহাড়ের জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীর আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।