মো. ইসমাইলুল করিম বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি : পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাশী ৬নং ওয়ার্ডে অবস্থিত হায়দারনাশী গ্রামার স্কুলে গত ১২ জুলাই দিবাগত রাতে রাত ১টা থেকে ৩টা ভয়াবহ ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্কুলের অধ্যক্ষ মো.ফরিদুল আলম বাবলু অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার ১৩ জুলাই স্কুলের শিক্ষক/শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীরা মানববন্ধন করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানায়, গত শুক্রবার গভীর রাতে নজরুল, কুতুবউদ্দিন প্রকাশ গুরা সোনাইয়া, রেজাউল, মামুন, হারুন, সিদ্দিক, বকুল, জাফর ইকবাল সহ ৩০-৩৫ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হায়দারনাশী গ্রামার স্কুলে হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীরা স্কুলের অফিস কক্ষ ভাঙচুর করে এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কক্ষ থেকে ১০টি ল্যাপটপ, একটি স্মার্ট টিভি এবং মাল্টিমিডিয়া রুমের মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। হামলার সময় স্কুলের অধ্যক্ষ মো. ফরিদুল আলম বাবলু নিজের প্রাণ বাঁচাতে স্কুলের অফিস কক্ষে আশ্রয় নেন। কিন্তু সন্ত্রাসীরা অফিস কক্ষে ঢুকে পড়লে তিনি দ্রুত স্কুলের ছাদ দিয়ে ছাত্র হোস্টেলের রুমে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। সন্ত্রাসীরা এখানেই থামেনি। তারা স্কুলের শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত টমটম গাড়ি, অধ্যক্ষের একটি মোটরসাইকেল, তার বড় ভাইয়ের একটি মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায়।
এছাড়া সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে হার্ডডিক্স, ডিভিআর ও মনিটর নিয়ে যায়। তাছাড়াও, তারা স্কুল ভবন থেকে টিভি, ঘরের কাপড়-চোপড় সহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যায়।এই সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এবং দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে এই ঘটনার বিচার দাবি করে এবং তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানায়।তবে এলাকাবাসী এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করছেন।
Leave a Reply