সবুজ সরকার বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে লাইট হাউজ টেকনিক্যাল বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক আমার সব ওরে ছাড়া বাঁচবো না ওকে না পেলে মরে যাবো সাবিনা ইয়াসমিন (২৩) নামের এক তরুনী এসব কথা বলেন। স্ত্রীর স্বীকৃতির পেতে রাজ্জাকের বাড়িতে অনশন করছেন ওই তরুনী। ওই তরুণী বেলকুচি লাইট হাউজ টেকনিক্যাল বিএম কলেজের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের পিড়ার চর গ্রামের ফুলজার হোসেনের মেয়ে। আব্দুর রাজ্জাক একই ইউনিয়নের ধুকুরিয়াবেড়া গ্রামের মনিরুজ্জামানের ছেলে। গত ১ জুলাই দুপুর থেকে আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। ওই তরুণী অনশন শুরু করার পর থেকে অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে বেড়াছেন। কিন্তু গত ৪ জুলাই স্থানীয়দের আশ্বাসে ওই তরুণী তার বাড়িতে ফিরে গেছেন।
তরুণী জানান, গত ২০২০ সালে আমি ওই কলেজে ভর্তি হয়। আব্দুর রাজ্জাক লাইট হাউজ টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন আমি তখন ওই কলেজের ছাত্রী ছিলাম। এই সুবাধে আমাদের পরিচয়। পড়ালেখা শেষ করার পর অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক আমাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিয়ের প্রস্তাব দেয় কিন্তু তার স্ত্রী আছে এটা যেনে প্রথমে আমি রাজি হইনি। তারপর আমি ঢাকায় চলে যাই। অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মাঝে মধ্যেই আমার বাসায় যেতো। দু’জন দু’জনকে ভালোবেসে ফেলি। হঠাৎ এক পর্যায়ে তার সাথে আমার অনৈতিক সম্পর্ক হয়ে যায়। গত (২১)সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে ঢাকাতে পরিবারকে না জানিয়ে আমরা দুজন বিয়ে করি। বিয়েতে ৬ লাখ টাকা কাবিন করা হয়। আমাকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপাররেটর পদে চাকরি দেবেন এই জন্য ১১ লাখ টাকা লাগবে জানান। পরে কাবিনের ৪ লাখ টাকা মৌখিক যোগ ও নগদ আমার কাছে থাকা ৭ লাখ টাকা আমার স্বামী আব্দুর রাজ্জাকে বুঝিয়ে দেয়। মোট ১১ লাখ টাকা দিয়ে চাকুরী নেই। আমাদের সংসার ঠিক মতই চল ছিলো। বিয়ের দেড় বছর পর আমাদের কণ্যা সন্তানের জন্ম হয়। জন্ম হওয়ার পর সন্তানটা মারা যায়। সন্তান মারা যাওয়ার পর আমাদের বিয়ের কথা জানাজানি হলে তার প্রথম স্ত্রীর চাপে আমার চাকুরীর সমস্যা সৃষ্টি করে। তার কিছু দিন পর তার স্ত্রীর চাপে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেয়। আমার কথা সে আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করছে এখন প্রতারনা করবে সেটা আমি আনবো না। এখন আব্দুর রাজ্জাক আমার সব ওরে ছাড়া বাঁচবো না। আমি এখন স্ত্রীর অধিকার নিয়ে ওর বাড়িতে এসেছি ওর সাথেই বাকিটা জীবন থাকতে চাই। আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার উপায় নাই।
তরণীর মা জানান, আমার মেয়েটাকে বিভিন্ন কিছুর প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বিয়ে করেছে তারপরও আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমার মেয়ে তার স্বীকৃতি নেওয়ার জন্য আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে গেলে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার জানান। আমার মেয়েকে ওই বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাকের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে বেলকুচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন জানান, অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক সাবিনা ইয়াসমিন নামের একজনকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়ে তাকে বিয়ে করেছিল আবার কিছুদিন পরে সে ডিভোর্স দিয়েছে। এটা একটা প্রতারণা মূলক কাজ। আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
্
Leave a Reply