সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ-সলঙ্গা) আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য,চার বারের নির্বাচিত সাবেক এমপি ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনপ্রিয় জননেতা আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান তালুকদারের হাতে ধানের শীষ দেখতে চান বিএনপির তৃণমূলের নেতা কর্মীরা।
তাদের দাবী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক চ্যালেঞ্জিং, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হলে,এই আসনে আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান তালুকদারের কোন বিকল্প নেই। তিনি রায়গঞ্জ,তাড়াশ ও সলঙ্গায় যে নজীর বিহীন উন্নয়ণমূলক কাজ করেছেন,তা জনগনের কাছে দৃশ্যমান। উন্নয়নমুল এ কাজই আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান তালুকদারকে জনগণের কাছে টেনে নিয়ে যায়। ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে সর্বমহলের মানুষের কাছে তিনি তার গ্রহণযোগ্যতা দিয়ে ভোটের মাঠেও গড়ে তুলেছেন শক্ত অবস্থান। অপরদিকে দলের দুর্দিনে কারাবন্দী নেতাকর্মীদের পাশে থাকায় ও অবৈধ হাসিনা সরকার পতন আন্দোলনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করায় তিনি নেতাকর্মীদেরও মনের মনিকোঠায় স্থান দখল করে আছেন।
তৃণমূলের নেতারা জানান,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জিং। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সরকার গঠন করতে হলে নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এবং তিনটি শর্তে প্রার্থী চুড়ান্ত হবে। বিপুল টাকার মালিক এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সখ্য আছে, কিন্তু জনবিচ্ছিন্নসহ সর্বমহলে গ্রহন যোগ্যতা নেই,এমন প্রার্থী মনোনয়ন পাবেন না। প্রার্থী নির্বাচন করতে সমাজে যাদের ক্লিন ইমেজ,রাজনৈতিক ঐতিহ্য, সংগঠনের জন্যে কতটুকু ত্যাগ, সাংগঠনিক দক্ষতা,দলীয় নেতাকর্মীদের দুর্দিনে অবদান রাখাসহ দলের আদর্শের প্রতি কতখানি অনুগত রয়েছে, এসব খতিয়ে দেখে প্রার্থী বাছাইয়ে এবার তারেক রহমান এর ঘোষণা বিশেষভাবে ভুমিকা পালন করবে। তবে মনোনয়ন চুড়ান্তের ক্ষেত্রে তারেক রহমান ঘোষিত যে যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে সে সকল যোগ্যতার সবকটিই সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান তালুকদারের রয়েছে। ফলে এসব বিবেচনায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ওপর তৃণমূল নেতাদের সে আস্থা রয়েছে। তাদের মতে, তারেক রহমান সুদুর লন্ডনের মাটিতে বসেই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সবসময় খোঁজ-খবর রাখেন। সুতরাং যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয়টি তিনি ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল। তাই তার পছন্দের প্রতি তৃণমূল নেতাদের আপত্তি থাকবে না বলে জানিয়েছেন তারা। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যে তিন শর্তে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই তিন শর্তেই তিনিই দলীয় মনোনয়ন পাবেন এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
স্থানীয় নেতারা বলেন, এ আসনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে বিএনপির তৃণমূলসহ সর্বমহলে গ্রহনযোগ্য ব্যাক্তিকে মনোনয়ন দিতে হবে, সেই বিবেচনায় চার বারের নির্বাচিত সাবেক এমপি আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান তালুকদারের উপরই আস্থা রাখছে তৃণমূল বিএনপিসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। বিএনপির সুদিন-দুর্দিনের কান্ডারী আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান তালুকদারের ঈর্শ্বনীয় জনপ্রিয়তায় এখনো কোন ভাটা পড়েনি। তিনি পুর্বাপর জনপ্রিয়তার শীর্ষেই অবস্থান করছেন। রায়গঞ্জ তাড়াশ ও সলঙ্গার মানুষের অতি আপনজন হিসেবে তিনি যেন তাদের এক আত্মার পরম আত্মীয়। সর্বজন গ্রহনযোগ্য ও জনপ্রিয় এ জননেতা তার নির্বাচনী এলাকার মানুষকে কারপুর্ণহীন ভালোবাসা দিয়ে আপন করে কাছে আগলে রাখায় তিনি তাদের হৃদয়ে এখনো নিজেকে ঠাঁই করে আছেন।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলঙ্গা এলাকার সাধারণ জনগনের ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের অনুরোধে এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানে সারা দিয়ে আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান তালুকদার ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেই বিপুল সংখ্যক ভোটে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ট, জুন ১৯৯৬ সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (পরপর চার বার)
সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন থেকে তিনি রায়গঞ্জ তাড়াশ ও সলঙ্গার বিস্তীর্ণ ও জনবিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে স্কুল-কলেজ স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পাকা রাস্তা-ঘাট ও ব্রীজ কালভাটের নজীর বিহীন উন্নয়ন করেন। এসকল নজিরবিহীন উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে তিনি এখনো এলাকার মানুষের মনের মনিকোঠায় স্থান দখল করে আছেন ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন। অপরদিকে তিনি ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে এলাকায় সুমান অর্জন করে ভোটের মাঠেও গড়ে তুলেছেন শক্ত অবস্থান। নিজের অর্জিত সেই ভোটের মাঠে জীবনের শেষার্ধের আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের ধানের শীষ প্রতীক আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান তালুকদারের হাতে দেখতে চান এ নির্বাচনী এলাকার মানুষ। তবে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যদি নবীনদের গুরুত্ব দেওয়া হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে তার সুযোগ্য উত্তরসুরী সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য রাহিদ মান্নান লেনিনের হাতে ধানের শীষ প্রতীক দেখতে চান তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। তাদের দাবী, আদর্শ পিতার উত্তরসুরী হিসেবে আদর্শ পিতার আদর্শের পথ অনুসরণ করেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সক্রিয়ভাবে রাজনীতির মাঠে রয়েছেন রাহিদ মান্নান লেনিন। তিনিও পিতার নির্দেশে দলের সংকটময় সময়ে স্বশরীরে রাজপথের উপস্থিত থেকে নেতা-কর্মীদের অভয় দিয়েছেন ও অবৈধ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলন- সংগ্রামে সাহসী ভুমিকা পালনসহ রায়গঞ্জ তাড়াশ ও সলঙ্গার কারাবন্দী নেতাকর্মীদের আর্থিক সহযোগিতার উজ্জল স্বাক্ষর রেখেছেন। এভাবে পিতার আদর্শের পথ ধরে দলীয় কর্মকাণ্ডসহ মানাবিধ সামাজিক ও সেবামুলক কাজ করে এলাকার সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন রাহিদ মান্নান লেনিন। সুতরাং তৃণমূল বিএনপির দাবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে তিনি তার গর্বিত পিতার অবর্তমানে সিরাজগঞ্জ-৩ এলাকার মানুষের হাল ধরতে চান।
Leave a Reply