সাত্তার আব্বাসী (সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি): সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থেকে শাহজাদপুর উপজেলার হাট পাঁচিল পর্যন্ত যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের জালালপুর ইউনিয়নের ১১ ও ১২ নম্বর প্যাকেজে নদী থেকে উত্তোলিত বালু অবৈধভাবে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রশাসনের দুর্বলতা ও নজরদারির অভাবের সুযোগ নিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে জমি ভরাট ও বিক্রি করছেন। এতে নদীর প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে এবং তীর রক্ষা বাঁধের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও এনায়েতপুর থানা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক জনাব মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাধ প্রকল্পের জালালপুর ইউনিয়নের ১১ ও ১২নং প্যাকেজে যমুনা নদী থেকে উত্তোলিত বালু নদীর তীরে পাহাড়ের মত স্তূপ করে রেখেছে। সেই স্তূপ কৃত বালু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি আব্দুর রশিদ, আমজাদ ফকির, মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মোঃ শাহ-আলম মেম্বর, ১৩ নং জালালপুর ইউনিয়নের ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর লাইলী বেগমের ছেলে ও জেল পুলিশ থেকে চাকরিচ্যুত মোঃ আলহাজ্ব, মোঃ হাশেম, স্বপন, নুরু ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহ-প্রকৌশলী এবং এনায়েতপুর পওর শাখার সোলায়মান ভুঞার যোগ সাজছে অবৈধভাবে রাতের অন্ধকারে এ বালু বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মোঃ মোখলেছুর রহমানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের জালালপুর ইউনিয়নের ১১ ও ১২নং প্যাকেজের বালু বিক্রির বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুন মাসে অনুমোদিত হয় এবং সাড়ে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাঁধ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪৭ কোটি টাকা। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্পের কাজে ধীরগতি ও অনিয়মের কারণে ইতোমধ্যে কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাধ প্রকল্পে নদী থেকে উত্তোলিত বালু অবৈধভাবে বিক্রি করার কারণে নদী ভাঙনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা অবিলম্বে এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
Leave a Reply