
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ- পটুয়াখালী সদর উপজেলার দক্ষিন সবুজবাগ এলাকায় নীজ বসত বাড়িতে ধর্ষনের শিকার হন আবিদা সুলতানা নামে এক নারী। বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আবিদা সুলতানার। গতকাল ১২ অক্টোবর ২৪ ইংরেজি তারিখ রাত অনুমান ৯ ঘটিকায় এই ধর্ষনের শিকার হন আবিদা সুলতানা। ইতিমধ্যে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে এই ঘটনায় কোন আসামি এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। জানা গেছে, ভুক্তভোগী আবিদা সুলতানা পটুয়াখালী দক্ষিণ সবুজবাগ এলাকার মৃত আবুল কাশেম ও মা’ মাহমুদা বেগমের মেয়ে। ধর্ষনের শিকার আবিদা সুলতানার মা মাহমুদা বেগম বলেন, মুখোশ পরা কিছু সন্ত্রাসী হঠাৎ করে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে, এবং আমাকে বেঁধে রেখে অস্ত্রের মুখে জিমি করে আমার মেয়ে আবিদা সুলতানাকে আমার সামনেই ধর্ষণ করে, এরপর মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা লুটপাট চালায়, মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার পর আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমাদের চিৎকার ও আর্তনাদ শুনে এলাকাবাসীরা ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এর পড়ে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় আমার মেয়ে আবিদা সুলতানাকে মুমূর্ষ অবস্থায় পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।স্থানীয়রা বলেন, সন্ত্রাসীরা অস্ত্র হাতে মুখোশ পড়ে এই তান্ডব চালায়। সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে লুটপাট চালায় এবং ভুক্তভোগী আবিদা সুলতানা কে জোরপূর্ব গনধর্ষণ করে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ জাকিয়া সুলতানা বলেন, আবিদা সুলতানা একাধিক বার ধর্ষণ হয়েছে, তিনি আরো বলেন, প্রথমিক চিকিৎসায় ধর্ষনের আলামত পাওয়া গেছে। তবে রুগী শারীরিক ভাবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, এবং ধর্ষণের শিকার আবিদা সুলতানার বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রসাশন উদ্বিগ্ন। পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কাজ করছে। আমরা আশাবাদী সন্ত্রাসীদের অচিরেই গ্রেপ্তার করা হবে।
Leave a Reply