স্টাফ রিপোর্টার ঃ কিশোর গ্যাং লিডার, ছিনতাইকারী ও ডাকাত দলের সদস্য রাজুকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ গোদনাইলের পুরাতন আইলপাড়া থেকে গ্রেফতার করলেও এখনো অধরা রয়েছে রাজুর টীম লিডার অস্ত্রবাজ ও বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলা এবং চাঁদাবাজি মামলার অন্যতম আসামী সানমুন। ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রাজুকে গ্রেফতারের পর ডাকাতি মামলায় থানা পুলিশ নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে। পরে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মাসুম দীর্ঘদিন যাবৎ চিহ্নিত অপরাধী ডাকাত দলের সদস্য ও অস্ত্রবাজ রাজুকে গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। যার ফলে গত ১৫ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে এসআই মাসুম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালালে হাতেনাতে রাজুকে আটক করতে সক্ষম হয়। ১৬ জুলাই বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালতে ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানা পুলিশ প্রেরণ করেন।
এদিকে এলাকাবাসী জানায় অস্ত্রবাজ রাজুর একটি কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারী গ্রুপ রয়েছে। এছাড়া মাদক বিক্রেতা হিসেবেও রাজুর জুড়ি নেই। নেশাগ্রস্ত এই রাজুর পিতার ছোবহান মিয়া। রাজু পিতার অবাধ্য সন্তান হলেও পিতা ছোবহান মিয়াও এলাকার মধ্যে নিকৃষ্ট মানুষ হিসেবে পরিচিত। শত শত অপকর্মের খলনায়ক সে। রাজুর গ্রুপ লিডার সানমুন এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে অস্ত্রের ব্যবসাও করে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। রাজুর অন্যতম সহযোগী স্বদেশ, কদু, রোহান, পলাশ, রাব্বি ও কৌশিক এলাকায় ছিচকে সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন চিপা চাপায় রাজুর নেতৃত্বে ছিনতাই করে আসছিল।
বিভিন্ন গার্মেন্টস এর শ্রমিক এবং এলাকায় নতুন কোন অতিথি আসলে তাদের পিস্তলের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোবাইল ও নগদ টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। সম্প্রতি এক গরীব অসহায় জাউল্লার কয়েক লাখ টাকা মূল্যের জাল ও ভ্যানগাড়ী ছিনিয়ে নেয় রাজু ও সানমুন গ্রুপ। এই গ্রুপের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। বেশ কয়েকদিন যাবৎ এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি এবং চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল রাজু ও তার বাহিনীর সদস্যরা।
রাজু, সানমুন দীর্ঘদিন যাবৎ বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাতক আজমির ওসমানের হুন্ডা বাহিনীর সদস্য থেকে অনেক চাঁদাবাজি করেছে। যা এখনও ভোল্ট পাল্টে বহান তবিয়তে রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী সানমুন ও সেন্টু এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারপরও রাজুকে পুলিশ গ্রেফতার করায় থানা পুলিশকে এলাকাবাসী ধন্যবাদ দিয়ে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছে। এলাকায় বিভিন্ন ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র এই চিহ্নিত অপরাধীকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করায়। এখন সানমুন ও তার বাহিনীকে দ্রুত গ্রেফতারের প্রতিক্ষায় রয়েছে স্থানীয় আইলপাড়া, পাঠানটুলী ও গোদনাইলবাসী।
Leave a Reply